চন্দ্রগ্রহণের সময় রাসুল (সা.) যে আমল করতেন

চন্দ্র ও সূর্যগ্রহণ হলো আল্লাহ তাআলা কর্তৃক নির্ধারিত একটি প্রক্রিয়া। চাঁদ যখন পরিভ্রমণ অবস্থায় কিছুক্ষণের জন্য পৃথিবী ও সূর্যের মাঝখানে এসে পড়ে, তখন পৃথিবীর কোনো দর্শকের কাছে কিছু সময়ের জন্য সূর্য আংশিক বা সম্পূর্ণরূপে অদৃশ্য হয়ে যায়। এটাই সূর্যগ্রহণ (Solar eclipse) বা কুসুফ। আর পৃথিবী যখন তার পরিভ্রমণ অবস্থায় চাঁদ ও সূর্যের মাঝখানে এসে পড়ে, তখনই পৃথিবীপৃষ্ঠ থেকে চাঁদ কিছুক্ষণের জন্য অদৃশ্য হয়ে যায়।
এটাই চন্দ্রগ্রহণ (Lunar eclipse) বা খুসুফ।
চন্দ্র বা সূর্যগ্রহণকে আল্লাহ তাআলার কুদরত হিসেবে অভিহিত করে অন্য হদিসে নবীজি (সা.) সাহাবিদের চন্দ্র বা সূর্যগ্রহণের সময় নামাজ আদায়ের নির্দেশ দিয়েছেন। তিনি বলেন, ‘কোনো লোকের মৃত্যুর কারণে কখনো সূর্যগ্রহণ বা চন্দ্রগ্রহণ হয় না। তবে তা আল্লাহ তাআলার নিদর্শনগুলোর দুটি।
সূর্য ও চন্দ্রগ্রহণ আল্লাহর অন্যতম নিদর্শন। এ দুই গ্রহণ সংঘটিত হওয়ার সময় দুই রাকাত নামাজ আদায় করা রাসুল (সা.)-এর সুন্নত। দশম হিজরিতে সূর্যগ্রহণ হলে নবী (সা.) সাহাবিদের সমবেত করে দুই রাকাত নামাজ আদায় করেন।
চন্দ্রগ্রহণের নামাজ আদায়ের নিয়ম—
- চন্দ্রগ্রহণ চলাকালে দুই রাকাত নামাজ আদায় করা সুন্নত। ইসলামের পরিভাষায় এটিকে ‘সালাতুল খুসুফ’ বলা হয়।
- যারা চন্দ্রগ্রহণ প্রত্যক্ষ করবেন, তারা নিজ নিজ বাসায় ফজরের নামাজের মতোই দুই রাকাত নফল নামাজ আদায় করবেন।
- ইচ্ছা করলে চার রাকাত বা এর চেয়ে বেশিও পড়া যাবে, তবে প্রত্যেক দুই বা চার রাকাত পরপর সালাম ফেরাতে হবে।
- অন্যান্য নফল নামাজের মতো এ নামাজেও আজান-একামত নেই।
- নামাজ শেষে চন্দ্রগ্রহণ শেষ না হওয়া পর্যন্ত জিকির, দোয়া ও মোনাজাতে মশগুল থাকবে।